মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
হুজ্জাতুল ইসলাম- গলাচিপা(পটৃয়াখালি) প্রতিনিধিঃ
গলাচিপা পৌর শহরে দীর্ঘ মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
নৌপথে ঢাকাগামী যাত্রী সাধারণ, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীর সর্বস্তরের ব্যবসায়ী, শ্রমিক লীগ, দোতলা লঞ্চ মালিক সমিতি ও গলাচিপা ফাউন্ডেশনসহ স্থানীয় কয়েকটি সংগঠনের আহ্বানে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
বেলা এগারোটায় থানার সামনে থেকে শুরু হয়ে সদর রোড ব্যাপী প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধনে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন শেষে আয়োজকরা এ রুটে লঞ্চসহ সব ধরণের নৌযান চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে গলাচিপা-ঢাকার সাথে সরাসরি দোতলা লঞ্চ যোগাযোগ তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকায় বিকল্প নৌ-ক্যানেল(খাল) করে নৌপথ সচল রাখার দাবি করা হয়।
রবিবার বেলা ১১টায় গলাচিপা বণিক সমিতি, ঢাকা-গলাচিপা-রাঙ্গাবালী নৌরুটে চলাচলকারী ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন- গলাচিপা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাপস দত্ত, গলাচিপা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাতি মোঃ ইব্রাহিম দফাদার, ঢাকা-গলাচিপা নৌরুটের লঞ্চ মালিক পক্ষের মোঃ মজিবর রহমান, গলাচিপা ফাউন্ডেশনের সভাপতি লুৎফর রহমান আওলাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন- গলাচিপা-ঢাকা নৌ রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উপকূলীয় গলাচিপা, রাঙ্গাবালী (আংশিক) কলাপাড়ার (আংশিক) নৌরুট। শুধু যাত্রী চলাচলই নয় এ এলাকায় সরাসির সড়ক যোগাযোগ না থাকায় নৌ-পথ নির্ভর বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যে নেমে এসেছে স্থবরিতা।
প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে আসায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। আর এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এসব এলাকার অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ।
তারা আরো বলেন- গলাচিপা, রাঙ্গাবালীর একাংশ, কলাপাড়ার একাংশ এলাকায় কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩২টি পণ্যবাহি ট্রলার চলাচল করে।
এছাড়া দোতলা লঞ্চে গলাচিপা প্রতিদিন কমপক্ষে ৫-৭ কোটি টাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী মালামাল নিয়ে আসেন।
এখন যাত্রীদের পাশাপাশি এসকল ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। গলাচিপার সাথে সরাসারি সড়ক যোগাযোগ না থাকায় একমাত্র নৌপথই ভরসা ছিল।
কিন্তু প্রশাসন তিন মাসের জন্য পটুয়াখালীর লোহালিয়া ব্রিজ নির্মাণের জন্য এ রুটটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে না দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি ব্রিজের পাশ দিয়েলঞ্চ চলাচলের জন্য ছোট ক্যানেল করে দিতো তাহলে এ সমস্যা হতো না। বৈশিক অর্থনৈতিক খড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতো ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।